৯০ দিন পর পৃথিবীতে ফিরলেন চীনের ৩ নভোচারী
মহাকাশে চীনের স্পেস স্টেশন তিয়ানহেতে তিন মাস অবস্থান করার পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন চীনের তিন নভোচারী নিয়ে হাইশেং, লিউ বোমিং এবং ট্যাং হনবো। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির স্টেশনে তাদের বহনকারী নভোযান শেনঝৌ-১২ অবতরণ করেছে।
এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজ। এ অঞ্চল থেকেই গত ১৭ জুন যাত্রা করেছিলেন তারা।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক গ্লোবাল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই তিন মহাকাশচারীর দায়িত্ব ছিল নিয়মিত মহাকাশে তাদের অবস্থান বিষয়ক তথ্য পৃথিবীতে পাঠানো এবং সেই দায়িত্ব তারা সুচারুভাবেই সম্পন্ন করেছেন।
এ অভিযানে তিন নভোচারী সফলভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ও তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাশূন্যে হেঁটেছেন বলে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।
নভোচারীরা ছিলেন স্টেশনের ভেতর ১৭ মিটার লম্বা আর চার মিটার চওড়া সিলিন্ডার আকৃতির মডিউলে। তারা থাকার জায়গা ছিল আলাদা। ব্যায়ামের জন্য ছিল বিশেষ ধরনের ট্রেডমিল ও বাইসাইকেল।
গত নয় মাসে মহাকাশে অসামান্য সব বৈজ্ঞানিক সাফল্য দেখিয়েছে চীন। গত বছর ডিসেম্বরে গত প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম চাঁদ থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে এসেছে চীনের পাঠানো একটি রোবট-চালিত মহাকাশযান। মঙ্গলগ্রহে ছয়-চাকার একটি রোবট নামাতে পেরেছে চীন যেটি থেকে নিয়মিত নানা ছবি আসছে। দুটো কাজই ছিল খুবই জটিল।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ প্রকল্পে (আইএসএস) জায়গা না পেয়ে চীন নিজেই এককভাবে একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে উদ্যোগী হয়।
এদিকে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মহাকাশ স্টেশনটি পুরোনো হয়ে গেছে। বছর তিনেক পরে এটির ঠিকমতো কাজ করবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় সেখানে চীনের নতুন এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনারা দাবি করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই কেন্দ্রটির মেয়াদকাল হবে কমপক্ষে ১০ বছর। ধীরে ধীরে এটির আয়তন বাড়ানো হবে যাতে একসঙ্গে অনেক নভোচারী সেখানে থাকতে পারেন।
সূত্র : বিবিসি
এসএমডব্লিউ