এক দশকে প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিসর সফরে নাফতালি
গত এক দশকের মধ্যে প্রথম কোনও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেট মিসর সফরে গেছেন। সেখানে লোহিত সাগরের তীরবর্তী শারম-আল-শেখ রিসোর্টে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত এক দশকে ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি সফরে মিসর গেছেন নাফতালি বেনেট। মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, শারম-আল-শেখ রিসোর্টে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া তারা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার উপায় নিয়েও আলোচনা করবেন।
গত জুনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হারিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আসেন বেনেট। গত মাসে মিসরের সরকারের কাছ থেকে সফরের আমন্ত্রণ পান তিনি। এর আগে, সর্বশেষ ২০১১ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারি সফরে মিসর যান। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তিনি দেশটি সফর করেন।
২০১৩ সালে মিসরের সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারক। পরে ২০১৮ সালে সিসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য নেতানিয়াহু গোপনে মিসর সফর করেন বলে সেই সময় গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৭৯ সালে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে মিসর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক বেশিরভাগ সময় শীতল ছিল।
গাজা উপত্যকায় নতুন করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে; সেবিষয়ে আলোচনা করতেই শারম আল-শেখে মিসর এবং ইসরায়েলি দুই রাষ্ট্রপ্রধান মিলিত হচ্ছেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় মিসর বরাবরই মূখ্য ভূমিকা পালন করছে।
মিসরের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্ত্রবিরতি চুক্তি গত মে মাসে ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাধ্যমে অবসান ঘটে। ওই সংঘাতে গাজায় অন্তত ২৬০ জন এবং ইসরায়েলের ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এসএস