আট স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী বধূ যখন এইডসে আক্রান্ত
বিয়ে করে পুরোদস্তুর ‘সংসার’ করতেন ঠিক ১০ থেকে ১৫ দিন, তারপরেই ছুট। টাকা, গয়না হাতিয়ে নিয়ে স্বামীকে ফেলে স্রেফ উধাও হয়ে যেতেন ‘স্ত্রী’।
তারপর কিছুদিনের বিরতি। ফের আবার অন্য পুরুষ, অন্য বিয়ে, নতুন ‘সংসার’। এ ভাবে গত চার বছরে আটজন স্বামীর ঘর করেছেন এক নারী।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ওই নারী। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা গেছে, তিনি এইডসে আক্রান্ত। কতদিন আগে থেকে এই রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ তাই ওই নারীর প্রাক্তন স্বামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষাও করাতে বলা হয়েছে।
বিয়ের আড়ালে এমন প্রতারণার ঘটনা অবশ্য ভারতে নতুন নয়। তবে যেটি প্রথম শোনা গেল- তা হল ওই প্রতারক কনের শরীরে দুরারোগ্য ব্যাধির উপস্থিতি এবং তা থেকে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি প্রতারিতদের শারীরিক ক্ষতি হওয়ারও বিপজ্জনক সম্ভাবনার কথা।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত ওই নারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। সেখানে তাদের বাড়ি আছে তার পরিবারের আত্মীয়রা পাঞ্জাবেই বসবাস করেন। দুটি সন্তানও আছে তার।
বিয়ে করে প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন গত চার বছর ধরে। এ কাজে তার আরও তিন সহযোগীও ছিলেন। পুলিশ সেই সঙ্গীদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন ওই নারী।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে করে সেই বিয়ে থেকে বেরিয়েও আসতেন তিনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পণের মামলার হুমকিতেই কাজ হত। তবে তাতেও সুবিধা না হলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অচেতন করে টাকা-গয়না নিয়ে পালাতেন তিনি।
সাধারণত স্বামী কতটা অবস্থাপন্ন তার উপর নির্ভর করত তিনি শ্বশুরবাড়িতে কতদিন থাকবেন। ধনী হলে ১৫ দিন। তুলনায় কম অবস্থাপন্ন হলে ১০ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করত প্রতারক দলটি।
পুলিশ জানিয়েছে, চার বছর আগে ওই মহিলাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তারপরই তিনি এই ব্যবসা ফেঁদে বসেন।
এসএমডব্লিউ