কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির মৃত্যু
জম্মু-কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শ্রীনগরের হায়দরপোরা এলাকায় নিজের বাসভবনে মারা যান তিনি।
গিলানির মৃত্যুর খবরটি তার পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ২০১৮ সালের মার্চে তার হার্ট অ্যাটাক হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ঘরবন্দি ছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। তার মৃত্যু ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। সেজন্য বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে গিলানির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
জম্মু-কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে জামাত-ই-ইসলামী কাশ্মীর সংগঠনের সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর তেহরিক-ই-হুরিয়ত নামে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে একটি সংগঠনও তৈরি করেন। দীর্ঘদিন ধরে অল পার্টিস হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যানের ছিলেন তিনি। তবে ২০২০ সালে হুরিয়তের দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
১৯২৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।
জেডএস