জেল মৃত্যু অথবা জয়, বলসোনারোর সামনে তিন বিকল্প
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো বলেছেন, ২০২২ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিততে না পারলে কারাবরণ বা মৃত্যু- এ দু’য়ের মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে তাকে। তবে বলসোনারোর দাবি, এই পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যিনি তাকে ভয় দেখাতে বা হুমকি দিতে পারেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার ব্রাজিলের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমার সামনে তিনটি পথ খোলা আছে- কারাবরণ, মৃত্যু অথবা নির্বাচনে জয়লাভ।’
পরে অবশ্য কারাবরণের বিষয়টি নাকচ করে দেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে এমন কেউ নেই, যে আমাকে ভয় দেখাতে বা হুমকি দিতে পারে।’
আসন্ন নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি বলসোনারোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির সাবেক বামপন্থি প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাকো লুলা দা সিলভা। ব্রাজিলের ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতির কড়া সমালোচক বলসোনারো গত কয়েকমাস অভিযোগ করে আসছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতে কারচুপির সুযোগ আছে।
আসন্ন নির্বাচন ব্যালট পদ্ধতিতে না হলে তার ফলাফল মেনে নেবেন না বলে হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
তবে গত বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচনী আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতে কোনো সমস্যা নেই এবং ব্যালট পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা নিতান্তই অপ্রয়োজনী। ব্যালট কাগজের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের প্রস্তাবকে খারিজও করে দিয়েছেন আদালত।
শনিবারের বৈঠকে আদালতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট রয়েছেন, যার কোনো প্রকার মতবিরোধ বা উস্কানিকে প্রশ্রয় দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই; কিন্তু সবকিছুর একটি সীমা আছে। আমি এভাবে বেঁচে থাকতে পারব না।’
নির্বাচনে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বলসোনারো। শনিবারের বৈঠকে ধর্মীয় নেতাদেরও সেই পদযাত্রায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থী বলসোনারোর জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল ধর্মীয় জোটগুলো। ব্রাজিলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, সামনের নির্বাচনেও এমনটিই চাইছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ