আফগান সরকারি কর্মীদের কাজে ফিরতে বাধা
সরকারি কর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তাদের অফিসে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে। শনিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কাবুলে সরকারি কর্মীদেরকে অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তালেবান।
ছয় দিন আগে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর থেকে সরকারি ভবন, ব্যাংক, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকাংশে বন্ধ রয়েছে। রোববারের পর টেলিকম কোম্পানিসহ মাত্র কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে দুই দিন সরকারি ছুটি ছিল।
হামদুল্লাহ নামে একজন বলেন, ‘সকালে অফিসে গেলেও গেটে থাকা তালেবানরা বলেছে, সরকারি অফিস পুনরায় খোলার কোনো নির্দেশ তারা পায়নি। কাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশ আসার আগে তারা আমাদেরকে টিভি দেখতে বা রেডিও শোনার পরামর্শ দেয়।’
কাবুলের কেন্দ্রস্থলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ ছিল জানিয়ে একজন কর্মচারী এএফপিকে বলেন, ‘তারা কাউকে অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাদের একজন আমাকে নতুন মন্ত্রী এবং পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।’
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিলেও তালেবান এখনো সরকার গঠন করতে পারেনি। সরকারের পতন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের মধ্যে মাসিক বেতন পাওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাজ শুরু করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আরও বহুগুণে বেড়ে গেছে তাদের সেই শঙ্কা।
কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ১৭ আগস্ট তালেবানের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ নতুন করে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম একটি ছিল, দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা।
তালেবান মুখপাত্র সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘আমি আমার স্বদেশিদের আশ্বস্ত করতে চাই, অনুবাদক, সামরিক কার্যক্রমের সঙ্গে বা সাধারণ নাগরিক যারাই আছেন না কেন সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। কারো প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণ করা হবে না।’
তালেবান ক্ষমতা দখলের ছয় দিন পর আজ শনিবার রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক ছিল জনশূন্য। শুধু কাবুল বিমানবন্দরে যাওয়ার পথটি খোলা ছিল। অবশ্য সেখানেও ছিল তালেবানের তল্লাশিচৌকি। এই সড়ক দিয়েই হুড়োহড়ি করে আফগানরা বিমানবন্দরের দিকে ছুটছিলেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের বাজারও বন্ধ ছিল। কাবুল পৌরসভার আরেক কর্মচারী বলেন, তিনি হতাশ যে তালেবানরা এখনো অফিস খুলছে না। ওই কর্মচারী বলেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে অফিসে এসেছিলাম কিন্তু এসে হতাশ হয়ে পড়েছি।’
এএস