যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দেশটিতে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস (এইচএইচএস) শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ভর্তি থাকা শিশুর সংখ্যা পৌঁছেছে ১ হাজার ৯০২ জনে।
এর বাইরে আরও বহু সংখ্যক শিশু সম্প্রতি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের বয়স ১২ বা তার নিচে বলে জানিয়েছে এইইচএইচএস।
২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে এখনও শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ জন।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু কমতে শুরু করেছিল, কিন্তু গত জুলাই থেকে ফের দেশটিতে অবনতি শুরু হয়েছে দৈনিক সংক্রমণ পরিস্থিতির। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার প্রভাবে দেশটিতে প্রতিদিন নতুন শনাক্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, ডেল্টার প্রকোপের ফলে ব্যাপক ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির ১২ বা তার চেয়ে কমবয়সী শিশুরা। কারণ, এই বয়সী শিশুদের জন্য উপযোগী কোনো টিকা এখন পর্যন্ত বাজারে আসেনি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, কিন্তু এক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৭ বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এইচএইচএসের শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের সবার দেহে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
দেশটির শিশুরোগ গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক শীর্ষ সরকারি প্রতিষ্ঠান আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকসের সাবেক প্রেসিডেন্ট স্যালি গোজা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি গত বছরের কোভিডের মতো নয়…বরং তার চেয়েও খারাপ এবং আমাদের শিশুরা যে চরম ঝুঁকিতে আছে, সাম্প্রতিক চিত্র তারই উদাহারণ।’
সূত্র : আল জাজিরা
এসএমডব্লিউ