হিমাচলে পাহাড়ধস, ২৫-৩০ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
ভারতের হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় বুধবার বিকেলে পাহাড়ধসে দুইজন নিহত এবং অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন মাটিচাপা পড়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাহাড়ধসে মাটিচাপা পড়া ওইসব মানুষের জীবিত থাকার সম্ভাবনা কম।
পাহাড় থেকে প্রস্তরখণ্ড ভেঙে গড়িয়ে নিচের রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি বাসের উপর পড়ে। বাসটিতে ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বাসের চালক ও তার সহকারী।
কিন্নরের ডেপুটি কমিশনার আবিদ হুসেন সাদিক জানিয়েছেন, বাসটি কিন্নরের রেকং পেও থেকে শিমলার দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় ধস নামে। উদ্ধারকাজে নেমেছে ইন্দো-তিব্বতিয়ান সীমান্ত পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও স্থানীয় মানুষজন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যাত্রীবাহী ওই বাসটি ছাড়াও ধসে পড়া পাহাড়ের প্রস্তরখণ্ডের নিচে আটকা পড়েছে আরও এক ট্রাক ও অন্য আরও কিছু যানবাহনে থাকা আরোহীরা। বাসটির চালক ও তার সহকারীসহ সেখানে আটকে পড়াদের মধ্যে ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পান্ডে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তিন ব্যাটেলিয়নের ২০০ সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। পাহাড় থেকে পাথর এখনো পড়ছে। এ কারণেই এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন পুলিশ সদস্যরা। এলাকাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। এনডিআরএফও আছে। আমরা জানতে পেরেছি একটি বাস ও একটি গাড়ি আটকে আছে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
পাহাড়ধসের পর মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সব ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
ভারি ও তুমুল বৃষ্টির কারণে হিমাচল থেকে প্রায়শই এমন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ভূমি ও পাহাড়ধস হয়েছে সেখানে। গত জুলাইয়ে কিন্নরের বাস্তেরিতে ভূমিধসে ৯ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল।
তখন ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বড় বড় প্রস্তরখণ্ড ঝড়ের গতিতে নেমে আসছে। বিশালাকার একটি বোল্ডারের আঘাতে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে দুই টুকরো হয়েছিল পাশের একটি সেতু। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব তছনছ করে দিয়েছিল সেই পাহাড়ধস।
এএস