বিশ্বের ১৩৫ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ডেল্টা
বিশ্বজুড়ে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। নতুন করে প্রকোপ ছড়ানোর জন্য দায়ী করোনার ডেল্টা ধরন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের ১৩৫টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ডেল্টা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়েছে, ডেল্টার পাশাপাশি অন্য ধরনগুলোর সংক্রমণ বাড়ছে। সংস্থাটি বলছে, ১৩২ দেশে করোনার বেটা ধরন ছড়িয়েছে। ৮১টি দেশে ছড়িয়েছে গামা ধরন। আলফা ছড়িয়েছে ১৮২টি দেশে।
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। গত ২৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ৪০ লাখ মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে সংক্রমিত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪২ লাখের বেশি।
শুরুর দিকে ভারতীয় ধরন বলা হলেও পরে ডব্লিউএইচও এর নতুন নাম দেয় ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’। এই ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘বি.১.৬১৭’। এরপর গত মে মাসে করোনার ডেলটা ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া রোগীদের বেশিরভাগ ডেল্টায় সংক্রমিত। অতিমাত্রায় সংক্রামক ডেল্টা প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। বিগত কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণে আধিপত্য করছে ডেল্টা। এতে করে অনেক দেশে নতুন করে ঢেউ শুরু হয়েছে।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে ছয় মাস পর একদিনে লক্ষাধিক মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চীনে ফের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তার নেপথ্যেও রয়েছে ডেল্টা। ইন্দোনেশিয়া-থাইল্যান্ড-বাংলাদেশেও ডেল্টার প্রকোপ মারাত্মকভাবে ছড়াতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্টের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, ‘অতিমাত্রায় সংক্রামক করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে দিনে দুই লাখ করে মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন নতুন করে যেসব করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, তাদের ৮৩ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত। শুধু সংক্রমণ নয় সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুও ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
গত জুনে ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, ভারতে পাওয়া করোনার ডেল্টা ধরনটি এখন সারা বিশ্বে ‘আধিপত্য’ বিস্তার করছে। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্বেই ডেল্টা ধরনটি বেশ তাড়াতাড়ি আধিপত্য বিস্তার করে ফেলছে।’
এএস