প্রেসিডেন্ট হত্যায় বিচারক জড়িত : হাইতি
হাইতির পুলিশ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সাবেক একজন বিচারকের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস হত্যায় জড়িত থাকার নতুন একটি অভিযোগ তুলে বলেছে, মোইস হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কিছু কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার।
রয়টার্স এই খবর জানিয়ে লিখেছে, মোইসের হত্যাকাণ্ড পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশটিকে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং এরপর আমেরিকাজুড়ে ভাড়াটে সেনা ও হত্যার মাস্টারমাইন্ডদের জন্য আন্তর্জাতিক এক অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশ এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারক ওয়েন্ডেল কক-থেলোটের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, যিনি ফেব্রুয়ারিতে অন্য দুই বিচারপতির সাথে ক্ষমতাচ্যুত হন। মোইস তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ তোলেন।
তবে জুলাইয়ের শুরু দিকে মোইস তার নিজগৃহে খুন হওয়ার পর থেকে বিচারক কক-থেলোটের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও তার অবস্থান যায়নি। মন্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেও তাকে পায়নি রয়টার্স।
হাইতি পুলিশের মহাপরিদর্শক মেরি মিশেল ভেরিয়ারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোইসের হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার হওয়া কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা ও হাইতিয়ান-আমেরিকানরা বলেছিল, তারা কক-থেলোটের সাথে দেখা করেছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক ভেরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের মধ্যে অনেকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা দুই বার ককের বাড়িতে গেছেন তার সঙ্গে দেখা করতে। এই লোকেরা কক-থেলোটের বাড়িতে বৈঠকের সময় স্বাক্ষরিত নথির বিবরণও দিয়েছে পুলিশকে দিয়েছে।’
ভেরিয়ার আরও বলেন, পুলিশ কক-থেলোটের মূল বাড়ি ও গ্রামাঞ্চলের অন্যান্য বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে। এছাড়াও ওয়েন্ডেল কক-থেলোটের জন্য ওয়ান্টেড (চিহ্নিত অপরাধী, তাকে ধরিয়ে দিন ছবিসহ এমন কিছু লেখা) পোস্টারও চালু করা হয়েছে।
মোইসকে হত্যার পেছনে কে বা কারা ছিলেন এবং কীভাবে তারা প্রেসিডেন্টের বাড়িতে ঢুকল তা নিয়ে অনেক প্রশ্নই অজানা। বেশিরভাগ কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্যদের নিয়ে গঠিত একটি স্কোয়াডকেই দায়ী করছেন হাইতির কর্মকর্তারা, যারা পুলিশের হাতে নিহত হয়েছেন।
হত্যায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার মোইসের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোইস হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে আটক ১৮ কলম্বিয়ানদের আইনি ও চিকিৎসার অধিকারের নিশ্চয়তা হাইতির কাছে চেয়েছে কলম্বিয়া।
এএস