চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন হাইতির নিহত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের স্ত্রী ও দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস। প্রেসিডেন্ট মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর চিকিৎসা শেষে স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ জুলাই) দেশে ফেরেন তিনি। স্বামীর হত্যাকাণ্ডের সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি আহত হয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে চিকিৎসা নেওয়ার পর স্থানীয় সময় শনিবার দেশে ফিরে আসেন মার্টিন মোয়েস। হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে বিমান থেকে নামেন মার্টিন।
এসময় দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ তাকে স্বাগত জানান। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘিরে ছিল বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গত ৭ জুলাই বন্দুকধারীরা হাইতির প্রেসিডেন্ট মোয়েসের ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলা চালায় এবং গুলি করে হত্যা করে। এ হামলায় তার স্ত্রী ও দেশের ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস আহত হন। পরে দ্রুত তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে নেওয়া হয়। সেখানে ১০ দিন ধরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই গত সপ্তাহে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভয়েজ ম্যাসেজ পোস্ট করেন মার্টিন মোয়েস। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। তিনি জানান, গভীর রাতে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার স্বামী হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয়।
মার্টিন মোয়েস বলেন, হামলার এই ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটেছিল যে, তার স্বামী একটি কথা বলারও সুযোগ পাননি। টুইটারে পোস্ট করা ওই রেকর্ডিংয়ে তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করার পর চোখের পলকে তার স্বামীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড বর্ণনাতীত। কারণ জোভেনেল মোয়েসের মতো একজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে হলে তাকে সীমাহীন খারাপ অপরাধী হতে হয়। এমনকি হত্যার আগে তাকে একটি শব্দও উচ্চারণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
মার্টিন মোয়েস দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণেই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষভাবে তিনি সংবিধানে একটি সংশোধনী আনতে চাচ্ছিলেন, যার ফলে প্রেসিডেন্টের হাতে আরও ক্ষমতা চলে আসতো। তার মতে, অজ্ঞাত মানুষেরা প্রেসিডেন্টের স্বপ্নকে শেষ করতে চেয়েছিল।
এদিকে, আগামী ২৩ জুলাই হাইতির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ক্যাপ হাইতিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এতে মার্টিনের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
টিএম