আফগান-পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংও গেল তালেবানের দখলে
প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার দাবি করেছে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। বুধবার (১৪ জুলাই) এই দাবি করে গোষ্ঠীটি। এই সীমান্ত ক্রসিংটি আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ও পাকিস্তানের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট হিসেবে পরিচিত বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা আফগানিস্তানের সরকারি সেনারা বুধবার সকালে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার দাবি জানায় তালেবান যোদ্ধারা।
এদিকে আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত রেখা ডুরান্ড লাইনের ঠিক পাশেই অবস্থিত আফগানিস্তানের জেলা শহর স্পিন বোলদাক। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখলের সময় তালেবানের হাতে পতন হয় কান্দাহার প্রদেশের এই জেলা শহরটির। তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি আফগান সরকারের কর্মকর্তারা।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কান্দাহার প্রদেশে অবস্থিত ওয়েশ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর দখলে নিয়েছে মুজাহিদিনরা। এর মাধ্যমে স্পিন বোলদাক-চামান- কান্দাহার কাস্টমসের মধ্যকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।’
আফগান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ হয়েছে পাকিস্তানের। প্রতিদিন এই ক্রসিং দিয়ে প্রায় ৯০০ ট্রাক পারাপার হয়ে থাকে।
কাবুলভিত্তিক সংস্থা আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’র চেয়ারম্যান শফিকুল্লাহ আত্তারি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে হামলা জোরদার করার মাধ্যমে হেরাত প্রদেশের ইসলাম কালা ও তুরঘুন্দি সীমান্ত ক্রসিং, কুন্দুজের শির খান বন্দর এবং ফারাহ প্রদেশের আবু নাসের ফারাহি সীমান্ত বন্দর দখলে নিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী।
রয়টার্স বলছে, পরিকল্পনা মতো তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে থাকা আফগানিস্তানের সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো দখলে নিচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে এসব সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলো থেকে তারা বড় অংকের রাজস্ব আয় করতে পারবে। যার কোনোটিই আফগান সরকারের কোষাগারে যাবে না।
শফিকুল্লাহ আত্তারি আরও বলেন, ‘তালেবানের দখল করা সীমান্ত ক্রসিং ও চেক পোস্টগুলোতে বাণিজ্যের পরিমাণের সঠিক হিসাব আমাদের কাছে নেই। তবে এগুলো দখলে নেওয়ার কারণে সেখানকার রাজস্বগুলো ইতোমধ্যেই তালেবানের পকেটে ঢুকতে শুরু করেছে।’
টিএম