ফুকেট খুলে দিয়ে আইসোলেশনে থাই প্রধানমন্ত্রী
টিকা নেওয়া বিদেশি পর্যটকদের জন্য ফুকেট দ্বীপ খুলে দেওয়ার এক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান-ওচা সাতদিনের জন্য আইসোলেশনে গেছেন। ওই বৈঠকে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা এক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তিনি আইসোলেশনে গেছেন।
দেশটির সরকারের মুখপাত্র আনুচা বুরাপাচাইশ্রি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন। তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বাসা থেকেই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে থাই এই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পজিটিভ আসেনি। প্রত্যেকদিনই তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। তিনি স্বাভাবিকভাবেই তার কাজ চালিয়ে যাবেন এবং করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
থাই ভাষার দৈনিক ক্রুংথেপ তুরাকিজ বলছে, গত ১ জুলাই পর্যটক প্রিয় ফুকেট দ্বীপ পুনরায় খুলে দেওয়ার বিষয়ে দেশটির বিভিন্ন খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া থাই চেম্বার অব কমার্সের এক নির্বাহী সদস্যের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আইসোলেশনে যান প্রধানমন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য পাওয়া যায়নি আনুচার।
মহামারিতে বিপর্যস্ত পর্যটন খাতকে ঘুড়ে দাঁড় করাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। গত ১ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ফুকেট দ্বীপ খুলে দেওয়া হয়। এই দ্বীপে প্রথম দফায় আসা প্রায় আড়াইশ’ পর্যটককে স্বাগত জানান প্রায়ূত চান-ওচা ও তার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে ওঠা থাইল্যান্ডের এই দ্বীপে পর্যটকরা কোয়ারেন্টাইন মুক্ত অবাধ ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। প্রথম দফায় যে আড়াইশ’ জন পর্যটক ফুকেটে পৌঁছেছেন; তাদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ফুকেটে ছুটি কাটাতে পাড়ি জমানো পর্যটকদের কোয়ারেন্টাইনের দরকার হবে না। তবে তারা এই দ্বীপ থেকে থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডে ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ছুটি কাটানোর এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফুকেট স্যান্ডবক্স।’
গত ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ফুকেটে পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক হাজার ৮৯৩ জন পর্যটক। সোমবারও থাইল্যান্ডে নতুন করে ৬ হাজার ১৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২ হাজার ২৭০।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।
এসএস