যুক্তরাষ্ট্রে পশুর শরীরে করোনার টিকা দেওয়া শুরু
টানা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। মহামারিকে পেছনে ফেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বিশ্বব্যাপী চলছে টিকাদান কর্মসূচি। তবে প্রয়োজনীয় টিকা সংকটের কারণে টিকাদানে অনেক পিছিয়ে আছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ।
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল যুক্তরাষ্ট্র। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি এবার উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে শুরু হয়েছে পশুদের শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগের কাজ।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি চিড়িয়াখানায় বাঘ, ভালুক এবং সিংহকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর তারা সুস্থও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানায় প্রথম পশুর শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর কেটে গেছে অনেক সময়। দেশটিতে করোনার ভয়াবহ প্রকোপে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সারা বিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হলেও যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। দেশটির বহু মানুষের দ্বিতীয় টিকা নেওয়াও হয়ে গেছে। মাস্ক পরা আর সেখানে বাধ্যতামূলক নয়।
মানুষের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি এবার যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলকভাবে পশুদেরও করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সান ফ্র্যান্সিসকোর ওকল্যান্ড চিড়িয়াখানায় রোববার দুইটি বাঘকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম জিনজার এবং মলি। কালো ভালুক গ্রিজলিও প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। এছাড়াও একটি পার্বত্য সিংহকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা পাওয়ার পরে প্রত্যেকর শরীর সুস্থ আছে।
ভেটেরনরি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জোয়েটিস পশুদের জন্য করোনার টিকা তৈরি করছে। ৭০টি চিড়িয়াখানায় প্রায় ১১ হাজার করোনা টিকার ডোজ তারা পাঠাবে বলে সংবাদসংস্থাকে জানানো হয়েছে। ওকল্যান্ডের চিড়িয়াখানাতেই প্রথম সেই কাজ সম্পন্ন হলো। সংস্থাটি জানিয়েছে, পৃথিবীর অন্য দেশেও পশুদের জন্য তৈরি করোনার টিকা তারা পাঠাতে চায়।
টিএম