যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার পর ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার মহড়া
কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার পর রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ভূমধ্যসাগরে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমানের মহড়া শুরু করেছে। মস্কোর জলসীমায় যুক্তরাজ্যের ডেস্ট্রয়ার এইচএমএস ডিফেন্ডারের অনুপ্রবেশ ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে রুশ সেনাবাহিনী ওই মহড়া আয়োজন করেছে।
মস্কো বলছে, গত বুধবার ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার এইচএমএস ডিফেন্ডারের পথে যুদ্ধবিমান থেকে সতর্কতামূলক বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে আঞ্চলিক ওই জলসীমাকে নিজেদের বলে দাবি করে মস্কো। তবে যুক্তরাজ্য রাশিয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, তাদের যুদ্ধজাহাজ ইউক্রেনের জলসীমায় নোঙ্গর করেছিল এবং গোলাবর্ষণের মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে শুক্রবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মহড়া শুরু করেছে। ব্রিটেনের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপও বর্তমানে ওই এলাকায় রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ, দু’টি সাবমেরিন এবং দূর-পাল্লার টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে গত মাসে প্রথমবারের মতো সিরিয়ায় সুপারসনিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। সিরিয়ার টার্টাস বন্দরে রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরে এ ধরনের একটি নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়ে মস্কো বলেছে, ক্রিমিয়া উপকূলে ব্রিটিশ নৌবাহিনী আবারও একই ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে কৃষ্ণ সাগরে ব্রিটেনের নৌবাহিনীর যানের ওপর বোমা ফেলা হবে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস