ফিলিস্তিনকে প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ ১০ লাখ টিকা দিচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১০ লাখ টিকার ডোজ দেবে ইসরায়েল। তবে ডোজগুলো পাওয়ার পরপরই টিকাদান কর্মসূচিতে সেগুলো ব্যবহার করে ফেলতে হবে। কারণ, যে ডোজগুলো দিচ্ছে ইসরায়েল, সেগুলোর মেয়াদ প্রায় শেষ প্রায় শেষ হয়ে আসছে।
এক প্রতিবেদনে ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দেশটির প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল। সেই অনুযায়ী দেশটিকে ১০ লাখ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ডোজ দেওয়া হবে। তবে খুব দ্রুত ব্যবহার করতে হবে ডোজগুলো, কারণ আর কিছুদিন পরেই এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়বে।’
বিবৃতিতে বেনেট আরও বলেন, ‘এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনকে ফাইজারের যে ১০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া দেওয়ার কথা আছে, সেগুলো ইসরায়েলে এসে যাবে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে ইসরায়েলে আসাবে ফাইজারের টিকাগুলো।’
চুক্তির ব্যাপারে ফিলিস্তিন সরকারের কোনো মুখপাত্র তাৎক্ষনিকভাবে কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, মে মাসে ১১ দিনের যুদ্ধের পর থেকে সার্বিক দিক থেকে ব্যাপক চাপে আছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
যুদ্ধের ফলে ভেঙে পড়া অর্থনীতি, খাদ্য সংকট, টিকার অভাব- সব মিলিয়ে বিপাকে আছে ফিলিস্তিন; তাই এই মুহূর্তে সংক্রমণ রুখতে ইজরায়েলের থেকে উদ্বৃত্ত টিকা নিতে আব্বাস সংকোচ করবেন না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইসরায়েলের ৫০ লাখ ১০ হাজার মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ, করোনা টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। বাকিদের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের দুই অংশ- গাজা ভূখণ্ড ও পশ্চিমতীরে করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া ১১ দিনের যুদ্ধে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সূত্র: এএফপি
এসএমডব্লিউ