বুরকিনা ফাসোয় ১৩২ নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে অন্তত ১৩২ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
সোলহান গ্রামে ওই হামলার সময় স্থানীয় বাড়িঘর ও বাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হামলার জন্য কোনো গোষ্ঠী এখনো দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটিতে এ ধরনের হামলা সাধারণত ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো করে থাকে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়।
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন।
জাতিসংঘ প্রধানের মুখপাত্র বলেছেন, এর ফলে সহিংস চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে সহায়তার প্রয়োজন, সেখানে প্রাণহানির বিষয়টি আবার বেরিয়ে এসেছে।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরে হামলার ঘটনায় দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলছেন, ‘অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবার একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
শুক্রবার রাতে আরেক হামলায় সোলহান গ্রামের দেড়শ কিলোমিটার উত্তরে তাডার্য়াট গ্রামেও ১৪ জন নিহত হয়েছে। গত মাসে বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে এক হামলায় ৩০ জন নিহত হন।
প্রতিবেশী দেশগুলোয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হামলা আর অপহরণের ঘটনায় দেশটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জঙ্গি হামলার জবাব দিতে গত মে মাসে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী বড় পরিসরে একটি অভিযান শুরু করে। তবে তা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সহিংসতা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। গত দুই বছরে দেশটির ১০ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন।
২০১২-১৩ সালে জঙ্গিরা আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত সাহেল অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মালি, শাদ, মৌরিতানিয়া, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ফরাসি সেনাবাহিনী।
কিন্তু এই সপ্তাহে মালিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটার কারণে মালির সেনাবাহিনীর প্রতি সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্স।
এএস