ভ্যাকসিন পাসপোর্টের তীব্র বিরোধিতা ভারতের
করোনা মহামারির মধ্যে বৈশ্বিক ভ্রমণ নিরাপদ করতে করোনা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ। করোনা টিকার উভয় ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাই পাবেন এই পাসপোর্ট। ধারণাটি বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠলেও এ ধরনের কোনো কিছু বাস্তবায়নের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত।
নয়াদিল্লির আশঙ্কা, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু হলে ভারতীয়রা বিদেশ ভ্রমণের সময় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারে। আর তাই জি-৭ বৈঠকে এমন প্রস্তাবনার বিরোধিতার পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। শুধু তাই নয়, এই ভ্যাকসিন পাসপোর্টকে ‘চরম বৈষম্যমূলক’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের বিদেশ যাওয়ার জন্য বা অন্য দেশের নাগরিকদের তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতির জন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। আর এটাই ভ্যাকসিন প্রস্তাবে ভারতের বিরোধিতার প্রধান কারণ।
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে সারা দেশে এক যোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও জনসংখ্যার নিরিখে প্রথম পাঁচ মাসে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফলে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু হলে অধিকাংশ ভারতীয়ই ওই সব দেশে যেতে পারবেন না।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য এই পাসপোর্ট ঠিক থাকলেও তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য এই নিয়ম সঠিক নয়। একইসঙ্গে এটি চালু হলে অন্য দেশে যেতে ভারতীয়রা বিপাকে পড়বেন বলেও স্বীকার করে নেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারতে এখনও সব মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সারা দেশের সকল মানুষকে দু’টি করে ভ্যাকসিন দিতে অনেকটাই সময় লাগবে। তাই এই অবস্থায় ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করা হলে চরম সমস্যায় পড়বে ভারতীয়রা।
চলতি মাসেই ব্রিটেনে জি-৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে গত শুক্রবার এই বৈঠকটি আয়োজন করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
টিএম