মেক্সিকোতে রহস্যময় গর্ত, গিলে খাচ্ছে বাড়ি
মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে আচমকা জমিতে ৩০০ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট গভীর বিশালাকৃতির একটি গর্তের দেখা মিলেছে। রহস্যময় গর্ত গিলে খাচ্ছে আশপাশের বাড়ি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতুহল ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। খবর মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত লাগোয়া দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের পুয়েবলা রাজ্যে এমন ঘটনায় সেখানে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজেও সেখানকার একটি মাঠের মাঝে গোলাকৃতির রহস্যময় গর্ত দেখা গেছে।
মাঠের মাঝখানে হঠাৎ করে এমন একটি বিশালাকৃতির গর্ত তৈরি হওয়ায় এর আশপাশে থাকা জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে। গর্তটির পাশেই একটি বাড়ি থাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। কেননা যে কোনো মহূর্তে বাড়িটি গর্তে বিলীন হতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রথম গর্তটি দেখা যাওয়ার পর মেক্সিকোরে সরকারি কর্মকর্তারা সেটি পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের ধারণা ওই গর্তটি ৬০ মিটার গভীর। বিশালকার গর্তটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। গর্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য তারা স্থানীয়দের সতর্ক করে দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত শনিবার প্রথম যখন গর্তটি দেখা যায় তখন এটির আয়তন ছিল কয়েক মিটার। কিন্তু সপ্তাহ যেতেই এর আয়তন বেড়ে হয়েছে ৭০ হাজার বর্গফুট। তবে ওই গর্তটির কারণে এখনো কোনো মানুষ দুর্ঘটনা কবলে পড়েননি।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুয়েবলা রাজ্যের গভর্নর মিগুয়েল বার্বোসা হুয়েরাত। তিনি বলেন, একটি বাড়ির পাশে হঠাৎ করেই বিশাল গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বাড়ির লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাইনি।
রহস্যময় গর্ত নিয়ে রাজ্যের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী বেতারিজ মানরিকুই জানান, প্রথম যখন এটি দেখি তখন মাত্র পাঁচ মিটার প্রশস্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই গর্তটি দুটি কারণে সৃষ্টি হতে পারে বলে নিজের ধারণার কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্রথমত, চাষাবাদ করায় ভূমি নরম হয়ে থাকতে পারে। অন্যথায় দীর্ঘদিন পানি উত্তোলনের কারণে এই গর্ত তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে এই রহস্যজনক গর্ত নিয়ে স্পষ্ট না হতে পারলেও তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি তুরস্কেও একই ধরনের বেশ কয়েকটি গর্তের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তুর্কি সরকার।
এএস