করোনা: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়েছে, মৃত্যু কমেছে বিশ্বে
প্রাণঘাতী রোগ করোনায় গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশাকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়েবসাইটটি জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ২৭৭ জন। তার আগের দিন বুধবার নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৬১ জন এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৯২৯ জন।
হিসেব করে দেখা গেছে, বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার পৃথিবীজুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ২০ জন বেশি; অন্যদিকে এই সময়সীমায় মৃতের সংখ্যা ৬৫২ জন কম।
দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে গত কয়েক মাস ধরে ১ম ও ২য় শীর্ষস্থানে থাকা দুই দেশ ভারত ও ব্রাজিল। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভারতে এদিন করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭১ জন এবং এ রোগে বৃহস্পতিবার দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ৭০৬ জন।
অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৯১ জন এবং এইদিন সেখানে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৮ জন।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আমেরিকারই দেশ আর্জেন্টিনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ২৯১ জন এবং এই সময়সীমায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫৫৩ জন করোনা রোগীর।
দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় চতুর্থ শীর্ষস্থানে বর্তমানে যৌথভাবে অবস্থান করছে কলম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ায় করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬২৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৪৫ জন।
আর যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কলম্বিয়ার চেয়ে কম হলেও মৃতের সংখ্যা বেশি ছিল। দেশটিতে এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৫৭০ জন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সেগুলো হলো - ইরান (আক্রান্ত ৯ হাজার ৬৫৭, মৃত্যু ১৭০), মালয়েশিয়া (৮ হাজার ২০৯, মৃত্যু ১০৩), রাশিয়া (আক্রান্ত ৮ হাজার ৯৩৩, মৃত্যু ৩৯৩), ফ্রান্স (আক্রান্ত ৮ হাজার ১৬১, মৃত্যু ৭১), ফিলিপাইন (আক্রান্ত ৭ হাজার ২১৭, মৃত্যু ১৯৯) ও তুরস্ক (আক্রান্ত ৬ হাজার ৬০২, মৃত্যু ১১৪)
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৭ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৫৮ জন। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৩১ জন। তাদের মধ্যে এই রোগের মৃদু উপসর্গ নিয়ে চলছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭২ জন এবং গুরুতর অবস্থায় আছেন ৮৯ লাখ ৩৫৯ জন।
অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা মানুষের তালিকাও কম নয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৫৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে শনাক্তের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পৃথিবীজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও); কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় অবশেষে গত ১১ মার্চ ডব্লিউএইচও করোনায়কে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।
এসএমডব্লিউ