সরকারি টাকায় নাস্তা করে বিপাকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী
স্বচ্ছ ইমেজ ও কাজের মানুষ হিসেবে বেশ পরিচিত ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। কিন্তু এবার তার বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার থেকে পরিবারের জন্য নাস্তার বিল মেটানো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী তার নিজের ও পরিবারের সকলের নাস্তার বিল কেন মেটাবেন, এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন ফিনল্যান্ডের বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন কেসারান্তায় প্রতি মাসে এ বাবদ ৩০০ ইউরো খরচ করা হয় বলে জানা গেছে। ফিনল্যান্ডের একটি জনপ্রিয় ট্যাবলয়েডে এই খবর প্রকাশ হতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। আলোচনা শুরু হতেই ফিনল্যান্ডের পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তারা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের করের টাকায় অবৈধভাবে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নাস্তার খরচ প্রধানমন্ত্রী মিটিয়েছেন কি-না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন জানিয়েছেন, আগে যারা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তারাও এই সুবিধা ভোগ করেছেন। তিনি টুইট করে পুলিশি তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে বলেছেন, তদন্ত চলাকালীন তিনি ওই সুবিধা নেওয়া বন্ধ রাখবেন। এমনকি এ ধরনের সুবিধা আইনবিরুদ্ধ হলে তা আর নেবেন না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সানা মেরিনের সব চেয়ে বড় অস্ত্র ছিল তার স্বচ্ছতা। তার নেতৃত্বে ফিনল্যান্ড যেভাবে করোনা সংক্রমণ সামলেছে, তারও প্রশংসা করেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ইউরোপের মধ্যে ফিনল্যান্ডেই করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে কম।
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নারী ও বিবিসির বিচারে বিশ্বের সেরা ১০০ নারীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।
ওএফ