মিয়ানমারে ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

মিয়ানমারে আঘাত হানা দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মান্দালয়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন ‘সেখানকার ক্ষয়ক্ষতি বিশাল’। তিনি বলেছেন, “মৃত্যুর সংখ্যাও অত্যাধিক। এখন পর্যন্ত আপনাদের আমরা এতটুকুই বলতে পারব। কারণ এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।” তিনি আরও বলেন, “হতাহতের সঠিক সংখ্যাটি এখনো জানা যায়নি। কিন্তু এটি অন্তত কয়েকশ হবে।”
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আঘাত হানা জোড়া ভূমিকম্পের প্রথমটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এখন সামনে আসা শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়ে হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া অনেকে ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিতের বরাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মান্দালয় প্রদেশের ফো শিং মসজিদ ধসে পড়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অন্তত তিনটি মসজিদ ভেঙে পড়েছে। মসজিদ ধসে পড়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন
একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন এটি ধসে পড়ে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। মানুষ আটকে আছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। শি ফো শিং মসজিদও ধসে পড়েছে।”
এছাড়া তুয়াঙ্গো সিটির মঠ ধসে পাঁচ উদ্বাস্তু শিশু নিহত হয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয়ে ছিল। সময় যত গড়াচ্ছে চারদিক থেকে ততই মৃত্যুর তথ্য আসছে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই