সিরিয়ায় ‘আসাদের মুফতি’ পালানোর সময় আটক

সিরিয়ার সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমেদ বাদরেদ্দিন হাসোনকে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে জর্ডানে যাওয়ার সময় তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউ আরব।
বিজ্ঞাপন
শেখ আহমেদ সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সহযোগী ছিলেন। এ কারণে তাকে অনেকে ‘আসাদের মুফতি’ হিসেবে ডাকতেন। বিতর্কিত এ গ্র্যান্ড মুফতি সুন্নি মুসলিম। আটকের আগে তিনি দামেস্ক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছে গিয়েছিলেন। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি জর্ডানে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কেউ যেন তাকে চিনতে না পারে সেজন্য প্রতিবন্ধীর ছদ্মবেশ ধরেছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
পরবর্তীতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস। যা ২৬ মার্চ জারি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শেখ আহমেদ বাদরেদ্দিন হাসোন ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন। ওই বছর এ পদটি বিলোপ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর তাকে আটক করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ এবং পরবর্তী সময়ে আসাদের চালানো গণহত্যায় তিনি সমর্থন জানান। এমনকি ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা যে নির্মম গণহত্যা চালায় সেটিতেও সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালে জানা যায়, আসাদ বিরোধী যে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেগুলোর অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনজন। যার অন্যতম হলেন এই বিতর্কিত গ্র্যান্ড মুফতি।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
এমটিআই