পশ্চিমবঙ্গে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার আতঙ্ক
ভারতজুড়ে মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফার প্রকোপ ও ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এবার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ‘আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার’ নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এই খবর জানিয়ে লিখেছে, উদ্বেগ যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা আলিপুরদুয়ারে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত শূকরের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রাণঘাতী এই রোগ।
প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রবল জ্বরে মারা যেতে পারে একের পর এক শূকর। তবে আশার কথা একটাই, এই রোগ মানুষের কাছে আপাতত আতঙ্কের নয়। কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্থানীয় প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর।
তাই আপাতত দিন দুয়েকের মধ্যে সেখানকার সমস্ত শূকরকে টিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই শূকরের মাংস বিক্রি ও অন্যত্র সেগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর বিস্তার ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একেবারে ভুটানের কোল ঘেঁষে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। গেট পার হলেই ভুটান। কিন্তু কীভাবে জয়গাঁতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক ছড়াল এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সবার মনে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখার চেষ্টা করছে।
প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, গত ২৫ মে ভুটানে মৃত শূকরের দেহে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর সতর্ক হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। সেখানে পেশাদার শূকর খামারিদের মধ্যেও এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রাণীসম্পদ দফতর কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর বিলি করেছে। সমস্যায় হলে করা যাবে ফোন। কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, ‘সমস্ত দিক থেকে আমরা সতর্ক রয়েছি। এলাকায় পর্যাপ্ত স্যানিটাইজসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এএস