করোনায় উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যু, ফ্যামিলি পেনশন ভারত সরকারের
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে অনেকটা খারাপ সময় পার করছে সারাবিশ্ব। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। তবে কমেছে দৈনিক মৃত্যু। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ৬ লাখ। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার।
অদৃশ্য শত্রু করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল সদস্যকেও। ফলে আচমকাই অথৈ জলে পড়ে যাচ্ছে পরিবারগুলো। কীভাবে আগামীদিন চলবে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। এবার সেই পরিবারগুলোর জন্য ‘ফ্যামিলি পেনশন’র ব্যবস্থা করছে ভারত সরকার। মূলত যে পরিবারগুলোর একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন, তারাই এ পেনশন পাবেন।
দেশটির এমল্পয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। শ্রমিকের গড়পড়তা মজুরির ৯০ শতাংশ হারে এই পেনশন মিলতে পারে। বলা হয়েছে, গত বছরের ২৪ মার্চ থেকে ২০২২য়ের ২৪ মার্চ পর্যন্ত এই ধরনের যে মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই পেনশনটি পাওয়া যাবে। এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ওই পরিবারগুলির পাশে রয়েছে ভারত সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার থাবায় পরিবারগুলো যে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে, তা থেকে কিছুটা স্বস্তি দেবে এই স্কিম। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোরও উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শিগগির শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে কোভিডের থাবায় অনাথ হওয়া শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের পড়াশোনার যাবতীয় ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে সরকার। এবার কোভিডে উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এমন ব্যক্তিকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও কিছুটা আশার আলো দেখবে অসহায় পরিবারগুলো।
এমএইচএস