তুরস্ক-পিকেকের ৫০ বছরের লড়াইয়ের অবসান, অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ

তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ বছরের লড়াইয়ের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। গোষ্ঠীটির প্রধান নেতা আব্দুল্লাহ ওকালান তার সমর্থকদের অস্ত্র ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে পিকেকে-কে বিলুপ্ত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আব্দুল্লাহ ওকালান ইস্তাম্বুলের একটি নির্জন দ্বীপে বন্দি আছেন। ১৯৯৯ সালে কেনিয়া থেকে তাকে ধরে আনে তুরস্কের স্পেশাল ফোর্স। তাকে আটকের পরও আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিল পিকেকের সন্ত্রাসীরা।
আব্দুল্লাহ ওকালানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেখা করেন কুর্দিপন্থি রাজনীতিবিদরা। এরপর তাদের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানান আব্দুল্লাহ। পরে ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই রাজনীতিবিদরা তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তারা বলেন, আব্দুল্লাহ ওকালান বলেছেন, “যেমন সমসাময়িক কমিউনিটি অথবা দল যারা চাপের মুখে নিজেদের বিলুপ্ত না করে স্বেচ্ছায় বিলুপ্ত হয়েছে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি (কুর্দি) কংগ্রেসের অধিবেশনের ডাক দিন। রাষ্ট্র ও সমাজের সঙ্গে মিলিত হয়ে যান। তিনি আরও বলেন, (আমার নির্দেশ) কুর্দি সব দল যেন অস্ত্র ফেলে দেয় এবং পিকেকে-কে যেন বিলুপ্ত করা হয়।”
তিনি দাবি করেছেন, যেহেতু পিকেকে-কে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। তাই তাদের পরিধি কমে এসেছে। এ কারণে অন্যান্য দলের মতো তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে।
১৯৭৮ সালে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি নামের এ দলটির কার্যক্রম শুরু হয়। তারা গাড়ি বোমা ও অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে তুরস্কের সেনা ও সামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো শুরু করে। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়া এবং ইরাকেও এই দলটির সন্ত্রাসীদের অবস্থান রয়েছে। দলটির প্রধান নেতার অস্ত্র ফেলে দেওয়ার নির্দেশের মাধ্যমে তুরস্কের বিরুদ্ধে কুর্দি এ দলটির পাঁচ দশকের লড়াই শেষ হচ্ছে। তবে এই সময়ের মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪০ হাজার মানুষের।
এদিকে তুরস্ক হুমকি দিয়েছে, আব্দুল্লাহর কথা শুনে যদি কুর্দিরা অস্ত্র না ফেলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
এমটিআই