গাজা থেকে মুক্তি দেওয়া হলো আরও তিন জিম্মিকে

নতুন করে দখলদার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইয়ার্দেন বিবাস (৩৪), ওফার কালডেরন (৫৩) এবং কেইথ সিগেলকে (৬৫) রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল তারা। এরমধ্যে তিনজন ছিলেন ইসরায়েলি, বাকি পাঁচজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। ওইদিন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময় গাজার খান ইউনিসে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তবে আজ সুশৃঙ্খলভাবে নতুন তিনজকে মুক্তি দেয় তারা।
বিজ্ঞাপন
ইয়ার্দেন বিবাসের দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকেও জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা। তবে ইসরায়েলেরই বিমান হামলায় প্রাণ হারান তারা। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হামাস তাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছিল। যদিও দখলদার ইসরায়েল এটি নিশ্চিত করেনি। তবে আজ যেহেতু স্ত্রী ও সন্তানদের ছাড়া ইয়ার্দেন বিবাস মুক্তি পেয়েছেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে তারা নিহত হয়েছেন। আর হামাস চুক্তির অংশ হিসেবে হয়ত শিগগিরই তাদের মরদেহগুলো ফেরত দেবে।
নতুন করে আজ যে তিন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে, তার বদলে দখলদার ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। যারমধ্যে যাবজ্জীবন ও দীর্ঘ কারাদণ্ড পাওয়ারা আছেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া আজই গাজা ও মিসর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং খুলে দিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে ক্রসিংটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। এতে করে চিকিৎসাসহ অন্যান্য জরুরি কাছে ফিলিস্তিনিরা আর গাজা থেকে বের হতে পারছিলেন না। ক্রসিং খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর অসুস্থ শিশুদের সেখানে নিয়ে আসা হয়। তারা গাজা থেকে অন্য কোনো দেশে উন্নত চিকিৎসা করাতে যাবে।
এমটিআই