ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ সহায়তা বন্ধের আদেশ আটকে দিলেন আদালত

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কল্যাণমূলক খাত ও প্রতিষ্ঠানে সহায়তা স্থগিতের যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত।
গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে বিদেশি সহায়তা প্রদান স্থগিত বিষয়ক একটি আদেশও ছিল। ২৭ আগস্ট সোমবার এ আদেশ কার্যকরের নির্দেশ দেন ট্রাম্প, তার চব্বিশ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক লরেন এল. আলিখান এক রায়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ আটকে দেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “প্রশাসনের এ আদেশ জারির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচিতে সরকার অর্থ সহায়তা প্রদান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচির পরিধি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশাসনের জ্ঞানের অভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি।”
“তাছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে প্রশাসনের উচিত ছিল আদালতকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করা। তাই সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট বিভাগের পরিচালক ম্যাথিউ ভায়েথ একটি দাপ্তরিক বিবৃতি প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের অলাভজনক খাতগুলোতে অর্থ ও ঋণসহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে তবে সামাজিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা পরিষেবা এবং সাধারণ পর্যায়ে লোকজনকে অর্থ সহায়তা প্রদান এ আদেশের আওতাভুক্ত হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত বাইডেন প্রশাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের আমলে যেসব সংস্থাকে অর্থ সহায়তা ও ঋণ প্রদান করা হয়েছিল, সেগুলোর যাচাই ও পর্যালোচনা চলছে। এটি শেষ হওয়ার পর এ ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিস্টিক্ট আদালতের আইনজীবী জেসিকা মর্টন সিএনএনকে বলেন, “সরকারের এ আদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যদি আদালত এটি আটকে না দিতেন, তাহলে এই বিভ্রান্তি হট্টগোলে পরিণত হতে বেশি সময় লাগত না।”
সূত্র : সিএনএন
এসএমডব্লিউ