মিয়ানমারের ৩০০ শরণার্থীকে বহনকারী নৌকা তাড়িয়ে দিল মালয়েশিয়া
মিয়ানমারের নথিবিহীন প্রায় ৩০০ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহনকারী দু’টি নৌকাকে মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড তাদের জলসীমা থেকে পাহারা দিয়ে বের করে দিয়েছে। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ) শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এমএমইএর শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, মালয়েশিয়ার জলসীমায় আসা রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বহনকারী নৌকায় খাবার ও পানির তীব্র সংকট থাকায় অনেকের শারীরিক অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে।
মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি বলেছে, শুক্রবার মালয়েশিয়ার রিসোর্ট দ্বীপ লংকাউইর উপকূল থেকে দুই নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে নৌকা দু’টির সন্ধান পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভাসমান নৌকা দু’টির অভিবাসীদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ রোসলি আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘নৌকা দুটির চলাচলে বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার জন্য আমরা থাই এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।’’
তবে ওই অভিবাসীরা রোহিঙ্গা কি না সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি মালয়েশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মনে করা হয়। এমনকি কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করলেও দেশটিতে তাদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয় না। দেশটিতে ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমরা।
এর আগে, গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার পুলিশ লংকাউই দ্বীপে পৌঁছানো একটি নৌকা থেকে মিয়ানমারের নথিবিহীন ১৯৬ অভিবাসীকে আটক করে। পুলিশ বলেছে, এই অভিবাসীদের মধ্যে ৭১ জন শিশু এবং ৫৭ জন নারী রয়েছে। তারা জাতিগত রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার পুলিশের পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটককৃত সব অভিবাসীকে নথিভুক্ত ও তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে, বিশেষ করে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যখন সমুদ্র শান্ত থাকে, তখন অনেক রোহিঙ্গা কাঠের নৌকায় চেপে থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকের গন্তব্য থাকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস