পর্তুগালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন আইন
ইউরোপের অভিবাসনবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত পর্তুগালে অনিয়মিত অভিবাসীদের চিকিৎসা সেবা সীমিত করে আনা সংক্রান্ত একটি খসড়া বিল প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত প্রায় এক হাজার চিকিৎসক, নার্স, মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মীরা।
গত সপ্তাহে পর্তুগালের পার্লামেন্ট অনিয়মিত অভিবাসীদের চিকিৎসা সুবিধা সীমিত করে নতুন একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে। এই আইন বাস্তবায়ন হলে দেশটিতে বসবাসরত অনিয়মিত অভিবাসীদের চিকিৎসা সেবা পেতে বেগ পেতে হবে।
অভিবাসনবিরোধী এমন আইনের প্রতিবাদে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করেছে পর্তুগালের চিকিৎসা খাতে কর্মরত ব্যক্তিরা। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, নার্স, মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মীসহ প্রায় এক হাজার ব্যক্তি নতুন আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
স্বাক্ষর সংগ্রহ শেষে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি প্রেরণ করা হবে। চিঠির একটি খসড়া ইতোমধ্যে অনলাইনে পোস্ট করেছেন প্রতিবাদী স্বাস্থ্যকর্মীরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই আইন পর্তগালের সংবিধান, ইউরোপীয় আইন এবং নৈতিকতা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে। এটি বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে। ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলবে।’’
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, চিকিৎসাবিষয়ক নৈতিকতা বিধি ভঙ্গ করে এমন কোন সিদ্ধান্ত ও হস্তক্ষেপ ডাক্তাররা গ্রহণ করতে পারে না। এটি চিকিৎসা প্রদানের স্বাধীনতাকে সীমিত করবে৷ চিকিৎসকদের অবশ্যই তাদের পেশাগত কাজ কোনো প্রকার বৈষম্য ছাড়াই পরিচালনা করতে হবে।
সংসদের অনুমোদন পাওয়া বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। খসড়া বিলটি সম্পূর্ণভাবে আইনে রুপান্তর হলে ভবিষ্যতে আইন অমান্য করার মতো আরও পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
এসএস