মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুতের পরিকল্পনা করেছিল ভারত
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ’র’। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানায়।
তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ‘র’-এর এজেন্ট এ বিষয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন। ওই সময় চীনপন্থি মুইজ্জু মাত্র কয়েকমাস আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এবং মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিতে দিল্লিকে বাধ্য করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জানুয়ারিতে, মুইজ্জু শপথ নেওয়ার কয়েক মাস পর, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসের ’র’ এর কর্মকর্তা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেন। তার লক্ষ্য ছিল দুই ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ কাজ করা হবে। যাদের মালদ্বীপে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ আছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শিরিশ থোরাত। তিনি মালদ্বীপে বেসরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার সঙ্গে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নিশাদের যোগাযোগ ছিল। অপরজন হলেন সাভিও রদ্রিগেজ। ভারতের গোয়াভিত্তিক এ প্রকাশক এক সময় বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।”
অপরদিকে দেশটির বিরোধী দলও মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য তারা ভারতের কাছ থেকে ৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা নিত। এসব অর্থ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর নিজ দলেরসহ অন্তত ৪০ এমপি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ১০ কর্মকর্তা এবং শক্তিশালী তিনটি গ্যাংকে ঘুষ হিসেবে দেওয়া হতো।
বিরোধীদের পরিকল্পনা ছিল, পার্লামেন্টে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করা হবে। এরপর ৪০ এমপিকে ঘুষের মাধ্যমে ম্যানেজ করে অভিশংশনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। তবে এই পরিকল্পনা আর আগায়নি বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
টিএম