চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ আলাদা করতে পারবে না : শি জিনপিং
তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদেরই অংশ। তবে তাইওয়ান বিশ্বাসী নিজেদের স্বাধীনতায়। তারা চীনের অংশ হতে চায় না। রক্ষা করতে চায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব।
এমন অবস্থায় তাইওয়ানকে নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বার্তায় জিনপিং একথা বলেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার বলেছেন, কেউ তাইওয়ানের সাথে চীনের পুনর্মিলন ঠেকাতে পারবে না। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। শি জিনপিং ২০২৫ সালের নববর্ষের বার্তায় বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাশের আমরা চীনারা এক এবং একই পরিবারের। আমাদের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন কেউ কখনও ছিন্ন করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক মোমেন্টামকে কেউ বাধা দিতে পারবে না।
আনাদোলু বলছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ছে। তাইওয়ানের নেতা উইলিয়াম লাই চিং-তে গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেন এবং এরপর থেকে তাইওয়ান দ্বীপের অবরোধসহ তিনটি বড় সামরিক মহড়া করেছে চীনা সেনাবাহিনী। অন্যদিকে তাইওয়ানও জরুরি প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য “টেবলেটপ অনুশীলন” করেছে।
উল্লেখ্য, তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে চীনের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান। চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে সেসময় তাইওয়ান জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে। তবে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিংয়ের চেষ্টার কমতি নেই। তাইওয়ান উপত্যাকার চারদিকে সামরিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে চীন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
টিএম