অবশেষে বাগে এলো বাঘিনী
বন দপ্তরের খাবারের টোপ, অনেক ফাঁদ-জাল পার করে বেরিয়ে গিয়েছিল বাঘিনী জিনাত। তবু তৎপরতা চালিয়ে গেছে বন দপ্তর। অবশেষে বাগে এসেছে বাঘিনী! রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাঘিনী জিনাতকে ফিরে পায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তর।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওড়িশার শিমলিপাল জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে ঝাড়গ্রাম, তারপর পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে বাঘিনী জিনাত। এখন তাকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা।
কীভাবে সম্ভব হলো বাঘিনী জিনাতকে খাঁচাবন্দি করা?
চ্যালেঞ্জ কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জ জয় করে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তর। বাঘিনী জিনাতকে ধরতে গত ৮ দিন ধরে অভিযান চালিয়েছে বন দপ্তরের কর্মীরা। শনিবার বাঘিনী জিনাতকে লক্ষ্য করে ট্রাঙ্কুলাইজার দেওয়া হলেও, সেটি শরীরে লেগেছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে এরপরই কৌশলে বদল আনে বন দপ্তর।
আরও পড়ুন
শনিবার সকালে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া এক জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘিনী জিনাত। প্রথমেই তার অবস্থান নিশ্চিত হয় বন দপ্তরের কর্মীরা। এরপর তাকে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। তবে তাতেও কাজ হয়নি।
সেখান থেকে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে জিনাত। গলায় ছিল তাকে ট্র্যাক করার জন্য রেডিও কলার। তবে শনিবারের পর জঙ্গল ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলে কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে আগুন লাগিয়ে কৌশল স্থির করা হয়। সেই কৌশলেই আসে সাফল্য। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে বাঘিনী জিনাত।
বহুল আলোচিত এই বাঘিনী ধরা পড়ার খবরে স্বস্তি ফিরে আসে এলাকাবাসীর মাঝে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেফ প্যাসেজ দিয়ে জিনাতকে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাঁকুড়ার প্রধান বন কর্মকর্তা এস কুলানডাইভেল বলেন, কয়েকদিন ধরে বন কর্মকর্তাদের ঘুম নেই। এটা আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব ছিল। তবে অন্য সবাই আমাদের সমর্থন করেছে।
এমএসএ