বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের মূল সেনা কমান্ড দখল বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের গুরুত্বপূণ সামরিক হেডকোয়ার্টারের দখল নিয়েছে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এই হেডকোয়ার্টারটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড নামে পরিচিত।
দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধের পর গতকাল শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের পতন ঘটে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। এই কমান্ডটি দখলের মাধ্যমে কার্যত পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করল আরাকান আর্মি।
এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, কিন্তু কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২১ সালের এক ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উচ্ছেদ করে মিয়ানমারের জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই সংঘাত শুরু হয়েছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে।
জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোটের নাম থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্স এবং জান্তার মধ্যে তীব্র রূপ নিতে থাকে সংঘাত। আরাকান আর্মিও থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সে সদস্য।
গত আগস্টে মিয়ানমারের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর ল্যাশিওতে অবস্থিত একটি সামরিক হেডকোয়ার্টারের দখল করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। সেটি ছিল জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রথম কোনো আঞ্চলিক সেনা কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
রাখাইনের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত বেশ সমৃদ্ধ। পাইপলাইনের মাধ্যমে এই রাজ্যটি থেকে চীনে গ্যাস পাঠায় মিয়ানমার। রাজ্যের কিয়াউক পিউ এলাকায় একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চলও রয়েছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলীয় রাখাইন মিয়ানমারের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ