ইউরোপে প্রতি চারজন কর্মীর একজন অভিবাসী : আইএলও
ইউরোপে প্রতি চারজনে অন্তত একজন কর্মী অভিবাসী বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠেছে। বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এই অভিবাসীরা।
সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রতি চারজনের মধ্যে প্রায় একজন শ্রমিক অভিবাসী। গত এক দশকে এসব দেশে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সংখ্যা ২২ দশমিক ৫ ভাগ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৩ শতাংশে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমখাতে অভিবাসীদের অংশগ্রহণের মাত্রা ইউরোপ, আরব এবং উত্তর অ্যামেরিকার দেশগুলোতে বেশি। এর কারণ হিসেবে ওই দেশগুলোতে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়তে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের পেশাগুলোতে অভিবাসীরা নিযুক্ত হচ্ছেন বলে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে অভিবাসী শ্রমিক বলতে, নিজ দেশের বাইরে গিয়ে অন্য দেশে কর্মরতদের বোঝানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এই প্রতিবেদনে ওয়ার্ক ভিসায় কর্মরত এবং অনিয়মিত অভিবাসী যারা কর্মরত আছেন উভয়কেই বুঝানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই অভিবাসী শ্রমিকদের দৃই তৃতীয়াংশই সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত রয়েছেন। আইএলও বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল অর্থাৎ এক দশকে সারা বিশ্বে অভিবাসী শ্রমিকের প্রায় তিন কোটি বেড়েছে।
২০২২ সালে বিশ্বে মোট অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখে। এর মধ্যে ১০ কোটি ২৭ লাখ পুরুষ এবং ছয় কোটি ৪৯ লাখ নারী।
এই অভিবাসীদের মধ্যে ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেকার। বেকারের এই সংখ্যা অভিবাসীরা যেই দেশটিতে অবস্থান করছেন ওই দেশের নাগরিকদের তুলনায় দুই শতাংশ বেশি। আইএলও বলছে, ভাষাগত সীমাবদ্ধতা, যোগ্যতার স্বীকৃতি না পাওয়া এবং বৈষম্যেসহ নানা কারণে অভিবাসীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কিছুটা বেশি।
এসএস