মার্কিন সরকারকে সহযোগিতা, সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলো ইরান
ইরানি-আমেরিকান এক সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরান। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই সাংবাদিকের নাম রেজা ওয়ালিজাদেহ। “মার্কিন সরকারকে সহযোগিতা” করার দায়ে তাকে এই সাজা দেয় পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির এক আদালত।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের একটি আদালত ইরানি-আমেরিকান সাংবাদিক রেজা ওয়ালিজাদেহকে “শত্রু মার্কিন সরকারের সাথে সহযোগিতা” করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করার পরে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
ওয়ালিজাদেহের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন আগাসি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, তেহরানের বিপ্লবী আদালত এক সপ্তাহ আগে এই রায় দিয়েছে এবং পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যেতে পারে।
আগাসি আরও বলেছেন, রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি ওয়ালিজাদেহের সাথে দেখা করতে পারছেন না।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া বকে পোস্টে আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন আগাসি বলেন, “রেডিও ফারদাতে কাজ করার অপরাধে ওয়ালিজাদেহের দশ বছরের কারাদণ্ড, তেহরান প্রদেশ এবং প্রতিবেশী প্রদেশে বসবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা, দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাজনৈতিক দলগুলোতে দুই বছরের জন্য সদস্যপদ স্থগিতের মতো শাস্তি হয়েছে।”
রেজা ওয়ালিজাদেহ মার্কিন-সরকারের-অর্থায়নকৃত ভয়েস অব আমেরিকার ফার্সি ভাষা পরিষেবার সাবেক একজন সাংবাদিক এবং এছাড়াও তিনি রেডিও ফারদা-তে কাজ করেছেন। রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির অধীনস্ত এই আউটলেটটি ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার তত্ত্বাবধান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন
গত আগস্টে ওয়ালিজাদেহ দৃশ্যত দুটি বার্তা পোস্ট করেন, যা থেকে বোঝা যায় যে তিনি ইরানে ফিরে এসেছেন, যদিও রেডিও ফারদাকে ইরানের সরকার শত্রু মাধ্যম হিসেবে দেখে থাকে। বার্তাটিতে আংশিকভাবে লেখা ছিল, “আমি ২০২৪ সালের ৬ মার্চ তেহরানে পৌঁছেছি। এর আগে, (বিপ্লবী গার্ডের) গোয়েন্দা বিভাগের সাথে আমার আলোচনা অসমাপ্ত ছিল। অবশেষে আমি ১৩ বছর পর কোনও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়াই আমার দেশে ফিরে এসেছি, এমনকি মৌখিক নিশ্চয়তাও নেই।”
আগাসি জানান, আসার পর প্রথম ছয় মাস তিনি মুক্ত ছিলেন এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টিএম