কতটা নিরাপদ কলকাতার স্ট্রিট ফুড?
সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড অর্থাৎ পথের ধারের খাবার। দামে কম, সহজে পাওয়া যায় এবং সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে পছন্দ করেন এ খাবারগুলো। বলা হয়ে থাকে কলকাতার মতো স্ট্রিট ফুডের সম্ভার ভারতের কোনো শহরে নেই। নানা ধরনের স্ট্রিট ফুডের সমাহার দেখতে হলে কলকাতায় যেতেই হবে। বিশেষে করে অফিস পড়া, শপিংমলের আশেপাশে এবং আড্ডার স্থানগুলোয় খাবারে স্বাদ, বৈচিত্র্য স্বাস্থ্যকর বলেই সম্মতি দিয়েছেন মনে করেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি কলকাতার স্ট্রিট ফুড নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে এসব খাবার নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্ট্রিট ফুড বিশেষ করে বিরিয়ানি, চাউমিন, এগরোল, ফিসফ্রাই, মাটন কষা, চিকেন চাপ এসবের প্রতি মানুষের আকর্ষণ যেমন বাড়ছে, তেমনই সেই খাবারের গুণমান ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অনেক জায়গায় নিম্নমানের উপকরণ, ক্ষতিকারক রং এবং ভেজাল মশলা ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও নোংরা পরিবেশ, মেয়াদোত্তীর্ণ বা অব্যবহৃত উপকরণ, ও জীবাণুজনিত সমস্যা রয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন
এ বছর ১এপ্রিল থেকে ৩০অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতার ৮৬০টি হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৫৯টি নমুনায় ভেজালের সন্ধান পাওয়া গেছে। আবার গত বছর সব মিলিয়ে ৯১০টি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৯১টি জায়গায় এসব খাবারে ভেজাল আছে বলে জানা গেছে।
স্ট্রিট ফুড খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা এবং পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে খাবার কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এআইএস