টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের ‘বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব’ নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘‘পারসন অব দ্য ইয়ার’’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন এই প্রভাবশালী সাময়িকী তাকে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেছে নিলো।
বিবৃতিতে টাইম ম্যাগাজিন বলেছে, ‘‘ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন, এক প্রজন্মে দেখা পাওয়া যায় এমন রাজনৈতিক পুনর্গঠন, আমেরিকান প্রেসিডেন্সির পুনর্নির্মাণ এবং বিশ্বে আমেরিকার ভূমিকা পরিবর্তন করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইমের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব।’’
টাইমের প্রধান সম্পাদক স্যাম জ্যাকবস বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ‘ভালো কিংবা খারাপ’ যাই হোক না কেন, ২০২৪ সালে গণমাধ্যমের খবরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন।’’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালেও প্রথমবারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল টাইম।
১৯২৭ সাল থেকে বর্ষসেরা ব্যক্তির খেতাব দেওয়া শুরু করে টাইম ম্যাগাজিন। মার্কিন এই সাময়িকী তখন থেকে এমন ব্যক্তি বা আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেয়, যারা বিশ্বজুড়ে ‘‘ভালো কিংবা খারাপের জন্য...’’ সারা বছরের ঘটনাপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেন।
অতীতে জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ, পোপ ফ্রান্সিস এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও টাইমের বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রত্যেক বছরের বিজয়ী নির্বাচিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন টাইমের সম্পাদকরা। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা পুরস্কারের জন্য অন্তত ১০ জনের নাম বিবেচনায় নিয়েছিল টাইম। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্কও ছিলেন।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় ট্রাম্পের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘‘আশ্চর্যজনক রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন’’ করায় বর্ষসেরার খেতাব জিতেছেন তিনি।
মার্কিন এই সাময়িকী বলেছে,‘‘তিনি আমেরিকান ভোটারদের পুনর্বিন্যাস করেছেন, তরুণ পুরুষ ভোটারদের সক্রিয় করেছেন; যারা তার বিজয়ে অবদান রেখেছে। তরুণ ভোটাররাই তাকে প্রথমবারের মতো পপুলারও ভোটে জয়ী করেছেন এবং দোদুল্যমান প্রত্যেকটি রাজ্য লালে পরিণত করেছেন।’’
এসএস