সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল সম্পর্কে সবার জানা উচিত: এরদোয়ান
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের মানচিত্র কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা তুরস্ক বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর শুক্রবার (২১ মে) ইস্তাম্বুলে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে নর্থ মারমারা মোটরওয়ের সপ্তম সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল যে কি জিনিস, সে সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বের জানা উচিত। ইসরায়েল ১৯৪৭ সাল থেকে অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে পুরো ফিলিস্তিনকে গ্রাস করেছে এবং এখন সেখানে ফিলিস্তিনিদের জন্য কেবল এক মুঠো জমি বাকি আছে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব মানবতা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের যে ধারণা নিয়ে কথা বলে, সেটাই হচ্ছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষ আরও শক্তিশালী তুরস্কের উত্থানের জন্য অপেক্ষা করছে।
টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর গত শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১ দিনের এই ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শতাধিক নারী ও শিশু রয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় হামাসের কমপক্ষে ১৫০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। হামাস অবশ্য নিজেদের যোদ্ধাদের হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামাসের রকেট হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১১ দিনের এই যুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে প্রায় চার হাজার রকেট ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
সূত্র: আনাদোলু
টিএম