অজ্ঞাত রহস্যময় রোগে কঙ্গোতে অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) রহস্যময় এক রোগে কমপক্ষে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অজ্ঞাত ফ্লু-জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া এই রোগে মৃতদের বেশিরভাগই বয়সে কিশোর ও তরুণ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টিকারী একটি অজ্ঞাত রোগে অন্তত ৭৯ জন মারা গেছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
বিবিসি বলছে, ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টিকারী অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি এবং কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং রক্ত স্বল্পতার মতো লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে এবং এতে ৩০০ জনেরও বেশি লোক সংক্রামিত হয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং রোগের প্রকৃতি তদন্ত করার জন্য প্রতিক্রিয়া দলগুলোকে কোয়াঙ্গো প্রদেশে, বিশেষ করে ওই প্রদেশের পাঞ্জি স্বাস্থ্য অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত এই রোগে সেখানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতা সেফোরিয়েন মানজানজা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, পাঞ্জি একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য অঞ্চল, তাই এখানে ওষুধ সরবরাহে সমস্যা রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আফ্রিকা অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তারা “ল্যাব তদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি দল পাঠিয়েছে”।
এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ জনগণকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জনগণকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে, জনসমাগম এড়াতে এবং যোগ্য স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া মৃতদের মৃতদেহ স্পর্শ না করতে আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
স্থানীয় একজন এমপি টপ কঙ্গো রেডিওকে বলেছেন, গত ১০ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৬৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তারা পরে মারা যান। তিনি বলেন, পাঞ্জি হাসপাতালে এই মহামারি মোকাবিলায় ওষুধের অভাব রয়েছে। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার।
উল্লেখ্য, মধ্য আফ্রিকার এই দেশটি চলতি বছর এমপক্সের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবেরও সম্মুখীন হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে দেশটি প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে এই সংক্রমণ রেকর্ড করেছে।
এছাড়া বছরের পর বছর ধরে ইবোলার মোকাবিলাও করছে ডিআর কঙ্গো।
টিএম