লেবাননে যুদ্ধবিরতি শুরু, এখনই বাড়ি না ফিরতে হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর ইসরায়েল ও লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের এখনই বাড়িতে না ফিরতে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়।
বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে সীমান্তে গোলাগুলি চলছিল। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ছুড়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৈরুতের ওই এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে।
এছাড়া কয়েক ঘণ্টা আগের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈরুতের দুটি এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিট আগে আবারও বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে, যদি এই চুক্তি বজায় থাকে, তবে এটি ইসরায়েল ও ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে সরে যাবে এবং এই সময়ের মাঝে হিজবুল্লাহর পরিবর্তে লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়ে এ ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় হোয়াইট হাউস থেকে চুক্তিটিকে বৃহত্তর শান্তির পথ হিসেবে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন
তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের প্রত্যাহারের পর দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার লেবানিজ সেনা মোতায়েন করা হবে। কিন্তু তাদের কিভাবে মোতায়েন করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, তাদের এ দায়িত্বপালনের জন্য সম্পদ, অর্থ, জনবল এবং সরঞ্জাম নেই। যদিও লেবাননের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সেনা থাকবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ফরাসি বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং যোগাযোগের মাধ্যমে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
টিএম