ইউক্রেনে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার রাশিয়ার
রুশ বাহিনী ইউক্রেনে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা মেইন ডিরেক্টোরেট অব ইন্টেলিজেন্স (হুর)। ইতোমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারও করেছে রাশিয়া।
শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ দশমিক ২৩ মিটার। যেসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, সেগুলোকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলা হয়।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সেনা গোয়োন্দা সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন যে ক্ষেপণাস্ত্রটি দিনিপ্রোতে ছুঁড়েছে রাশিয়া, সেটির গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি। আরও বলা হয়েছে, উৎক্ষেপণের পর ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
পরে শুক্রবার এক বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দিনিপ্রোতে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ ব্যবহার করেছে রুশ বাহিনী। পশ্চিমা বিশ্ব যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখে, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আরও বেশি হারে ব্যবহারের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রস্তুত করা হয়েছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা কেদির মিসাইল কমপ্লেক্সে এবং এটির প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল ২০২১ সালের জুন মাসে।
এদিকে কেদির মিসাইল কমপ্লেক্সের উপপ্রধান ভাদিম স্কিবিৎসি সম্প্রতি সংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওরেশনিকের মতো বা তার চেয়েও বেশি বিধ্বংসী ক্ষমতা ও গতি সম্পন্ন আরও ১০ ক্যাটাগরির পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে তাদের কাছে।
আন্তর্জাতিক সমরাস্ত্র ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনকে নিজেদের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা সিস্টেম টার্মিনাল হাই অল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম (থাড) দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ যে কোনো ক্রুজ বা ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অনেক আগেই ধ্বংস করে দিতে পারে থাড।
তবে তীব্র গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র থাডকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ কারণে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছে। শুক্রবার এক বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রুশ বাহিনীর কাছে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বড় মজুত রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ