যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। বুধবার চীনের সামরিক বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক নৌ চালনা নীতিমালার দিক থেকে দেখলে এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউএসএস কার্টিস উইলবার নামের যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজকে সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের প্যারাকেল দ্বীপপুঞ্জে আশপাশে টহল দিতে দেখা গেছে। যে এলাকায় ওই যুদ্ধজাহাজটি দেখা গিয়েছিল, সেটি চীনের সমুদ্রসীমার অধীন এবং ওই নৌযানটির সেখানে প্রবেশের আগে চীন সরকারের অনুমতি নেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চীন সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড তার যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ বিমান দিয়ে তাড়া করে ওই নৌযানটিকে দেশের সমুদ্রসীমার বাইরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।’
চীনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ কর বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কার্যক্রম চীনের সার্বভৌমত্ব, দক্ষিণ চীন সাগর এলাকার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে, চীনের সেনাবাহিনীর এই বিবৃতির পর যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পক্ষ পাল্টা আর একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখারন দেশটির নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই আন্তর্জাতিক নৌচালনা নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল; আর চীন সেনাবাহিনী সমুদ্রসীমার যে অংশটিকে নিজেদের বলে দাবি করছে, সেটি এখনও মিমাংসিত নয়। কারণ তাইওয়ান ও ভিয়েতনামও প্যারাকেল দ্বীপপুঞ্জ ও তার আশপাশের সমুদ্র এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে।’
দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ। প্রতিবছর দশ শতাংশেরও বেশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয় এই জলপথ দিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বমুখর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষিণ চীন সাগর একটি গুরত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে। চীন বরাবরই দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করতে চাইছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করার নামে চীন ভিয়েতনাম, জাপান, ফিলিপাইনসহ সাগরের তীরবর্তী অন্যান্য দেশগুলো সমুদ্রসীমা দখল করার পাঁয়তারা করছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ