নেদারল্যান্ডসে গেলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে দেশটি
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
বিশ্বের ১২৪টি দেশ এই আদালতের সদস্য। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাহলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব— তাদের দেশে যাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে তুলে দেওয়া। তবে তারা আদালতের এই রায় কার্যকর করবে নাকি করবে না সেটি নিজস্ব ব্যাপার।
অবশ্য নেদারল্যান্ডস ইতিমধ্যে জানিয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু ও তার সঙ্গী গ্যালান্ট যদি তাদের দেশে আসে তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ডাচ বার্তাসংস্থা এএনপিকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাস্পার ভেল্ডকাম্প জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে নিজস্ব কোনো সক্ষমতা আইসিসির নেই। ফলে এই আদালত সদস্য দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনের গাজায় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে এই দুইজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। বিবৃতিতে তারা বলেছে, “২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট ইচ্ছাকৃতভাবে ও জেনেশুনে গাজার বেসামরিক মানুষকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র— যেমন খাবার, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করেছেন এমন অভিযোগ বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
এছাড়া ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যদিও গত জুলাইয়ে দেইফকে হত্যার দাবি জানায় ইসরায়েল।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমটিআই