অর্থনীতি-কর-অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের নীতি কী?
নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেছেন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টিরও বেশি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে বুধবার হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করেছেন। মার্কিন বার্তা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলীয় কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। তবে এখনও কয়েকটি রাজ্যে আংশিক ভোট গণনা বাকি রয়েছে। ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ এক নতুন যুগে প্রবেশ করল বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। যদিও কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে আমেরিকার স্বর্ণযুগের সূচনা হয়েছে।
চলুন নতুন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অর্থনীতি, কর ও অভিবাসন ইস্যুতে কেমন নীতি অনুসরণ করতে যাচ্ছেন, তা জেনে নেওয়া যাক...
• অর্থনীতি
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ভোটে জিতলে তিনি ‘‘মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটাবেন এবং আমেরিকাকে ফের সাশ্রয়ী করে তুলবেন।’’ এ লক্ষ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ও শক্তি উৎপাদনকে আরও সম্প্রসারিত করবেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জ্বালানি খরচ যেন কম আসে, সেজন্য আর্কটিক মরুভূমির মতো এলাকাগুলোতে নতুন তেলকূপ খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
• কর
বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। যা সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের। প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালেও তিনি একই ধরনের একটি করনীতি গ্রহণ করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদশালীদেরই বেশি সুবিধা দিয়েছিল এই নীতি। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও হয়তো সেরকমই কিছু ঘটবে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধি করবেন।
• অভিবাসন
অভিবাসন ইস্যুতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, এবার সেটির কাজ শেষ করবেন বলে মার্কিন নাগরিকদের কথা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর তিনি আইন করে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সূত্র: বিবিসি।
এসএস