ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলিনায় জিতলেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তার অন্যতম হচ্ছে নর্থ ক্যারলিনা। আর সেখানেই রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়ের পর ট্রাম্পের ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩০টিতে। বুধবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ওরেগন অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন। মার্কিন এই অঙ্গরাজ্যটিতে তার জয় প্রত্যাশিতই ছিল। এর ফলে তার ইলেক্টরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৭টিতে।
এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে কমালা হ্যারিস জয় পেয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি কলোরাডো, ওয়াশিংটন আর ডিসট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়াতেও জয়ের দেখা পেয়েছেন। অন্যদিকে আইডাহো, কানসাস ও আইওয়াতে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং এর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
আর সাতটি অঙ্গরাজ্যে— জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলিনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত ছিল না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।
অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য একজন প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে। তবে নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্পের জয়ের পর হ্যারিসের জন্য অন্য ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট— জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকন্সিন, অ্যারিজোনা আর নেভাদা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।
আরও পড়ুন
এদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় রিপাবলিকানদের জয় গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা ঐতিহাসিক ভোটের ধারাকে ধরে রেখেছে। ট্রাম্প ২০১৬ সালে সেখানে তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ২০২০ সালে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।
ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে এই রাজ্যে সর্বশেষ ২০০৮ সালে বারাক ওবামা জয়ী হয়েছিলেন। তবে বারাক ওবামা ২০১২ সালে তার পুনর্নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির কাছে নর্থ ক্যারোলিনা হারান।
অবশ্য বেশিরভাগ সুইং স্টেটের ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি, যার ফলে পরিস্থিতি কমালা হ্যারিসের পক্ষে যেতে পারে। বিশেষ করে যদি তিনি রাস্ট বেল্টের তিনটি অঙ্গরাজ্য – উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে জিততে পারেন।
যদিও ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেটগুলোতে ইতোমধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিন্তু দুই প্রার্থীর ভোট খুব কাছাকাছি হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হতে পারে।
টিএম