মৃত্যুর ঝুঁকিতে উত্তর গাজার সব মানুষ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে গত ২০দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। সেখানে নির্বিচার হামলা চালিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার সেনারা। এমনকি উত্তরাঞ্চলের একমাত্র সচল হাসপাতালটিকেও হামলা থেকে বাদ দেয়নি তারা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা জয়েস মুসুয়া বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজায় সাধারণ মানবতাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলিরা যা করছে তাতে উত্তর গাজার সব মানুষ মারা যেতে পারে।
তিনি বলেন, “অবরুদ্ধ উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনারা যা করছে তা চলতে দেওয়া যায় না। হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁবু জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আহতদের কাছে জরুরি উদ্ধারকর্মীদের কাছে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, “ট্রাকে করে পুরুষ ও বালকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সাধারণ মানবাধিকার এবং যুদ্ধের আইনের প্রতি এ ধরনের নির্লজ্জ উপেক্ষা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। উত্তর গাজার সব মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে।”
গত ৬ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় নতুন করে আবারও ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায় হামাস যেন পুনরায় জড়ো না হতে পারে সেজন্য তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে আবারও অভিযান শুরু করেছে। এই কথিত অভিযানে হামাসের কয়েকশ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই