দ্বিতীয় সপ্তাহে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ, বাড়ছে লাশের সারি
ইসরায়েল ও গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ডাক এলেও কোনো পক্ষই এখনও যুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত দেয়নি।
অবরুদ্ধ গাজায় অনবরত ইসরায়েলি হামলা নিয়ে বিশ্ববাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রোববার (১৬ মে) ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের মধ্যে ১০ জন শিশু। অপরদিকে পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলি শহরগুলোতেও রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক টুইট বার্তায় উভয়পক্ষকে যুদ্ধ থামাতে বলেছেন। ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরের মধ্যকার হামলা নিয়ে সৌদি আরব, কাতার ও মিসরের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, সব পক্ষকেই উত্তেজনা হ্রাস করতে হবে। এই সহিংসতা অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত।
রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও অন্যদের কাছে তারা জানিয়েছে, সব পক্ষ যদি যুদ্ধবিরতি চায়, তবে তারা সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল পূর্ণ শক্তিতে গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখবে, যাতে হামাসের ভবিষ্যত আক্রমণ ঠেকানো যায়।
রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি বলেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা জন্য যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ অভিযান পরিচালনা করব।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলের বেরশেবা ও আশকেলন শহরে রকেট হামলা চালায়। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনীও বেশ কিছু বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাসের গোয়েন্দা কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৯৭ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৫৮ জন শিশু ও ৩৪ জন নারী রয়েছে। আর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ ইসরায়েলি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন শিশু।
সূত্র : রয়টার্স
ওএফ