সুনীতা-উইলমোরকে পৃথিবীতে ফেরাতে মহাকাশে পাড়ি দিলো মহাকাশযান

অবশেষে পৃথিবীতে ফিরছেন মহাকাশে আটকে পড়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযোগী বুচ উইলমোর। তাদের পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মহাকাশে রওনা হয়েছে নাসা এবং স্পেসক্রাফটের মহাকাশযান।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতেই ফ্লরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে দুজন মহাকাশচারীকে নিয়ে সেই যান মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। শুরু হচ্ছে ‘ক্রিউ-৯’ অভিযান।

ওই দুই মহাকাশচারীর ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’ (আইএসএস)-এ থেকে কিছু গবেষণা চালানোর কথা। তারপর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুনীতাদের সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে ফেরার কথা। সুনীতারা যে যানে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন, সেটি বিকল হওয়ায় গত জুন মাস থেকে আইএসএসে আটকে রয়েছেন। এবার তাদের ফেরাতে শুরু হলো অভিযান।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সুনীতাদের ফেরাতে অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় হেলেনের কারণে ফ্লরিডায় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। সে কারণে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারেনি নাসা এবং স্পেসক্রাফটের মহাকাশযান। এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের জন্য ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট এবং ড্রাগন মহাকাশযান প্রস্তুত রয়েছে। ‘ক্রিউ-৯’ অভিযানটি পরিচালনা করবেন মহাকাশচারী নিক হগ। বিশেষজ্ঞ হিসেবে সঙ্গে থাকবেন আলেকসান্দ্র গোরবুনভ। মহাকাশযানে চেপে ওই দুজন যাবেন আইএসএসে। সেখানে পাঁচ মাস থেকে প্রায় ২০০টি গবেষণা করবেন।

নাসার বাণিজ্যিক প্রকল্পের অধীনে এই নিয়ে নবমবার অভিযানে নামছে ইলন মাস্কের সংস্থার স্পেসক্রাফট। সব ঠিকঠাক চললে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আইএসএসে অবতরণ করবে স্পেসক্রাফটের ড্রাগন মহাকাশযান। এই মহাকাশযানে চারজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও দুজনের আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে, যাতে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং বুচকে সেখানে জায়গা দেওয়া যায়। গত ৬ জুন থেকে তারা আটকে রয়েছেন আইএসএসে।

আটদিন পরে ফেরার কথা থাকলেও পারেননি। বোয়িং সংস্থার যে স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে তারা গিয়েছিলেন সেখানে, সে যানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা গিয়েছিল। হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল বলে কাজ শেষ হয়ে গেলেও তাতে চেপে পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি সুনীতারা। ফিরলে তাতে ঝুঁকি থাকত বলে জানিয়েছে নাসা। সে কারণে ৬ সেপ্টেম্বর সুনীতাদের না নিয়েই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে স্টারলাইনার।

ক্রিউ-৯ আইএসএসে পৌঁছানোর আগেই সুনীতা এবং বুচ ক্রিউ-৮ ড্রাগন ক্যাপসুলে গিয়ে উঠবেন। ওই ক্যাপসুল এখন আইএসএসের ভিতরেই রয়েছে। কাজ শেষ করে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার জন মহাকাশচারীকে নিয়েই পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা হবে মহাকাশযান।

পিএইচ