ভারতে সেনা কর্মকর্তাদের বেধড়ক মারধর, মেয়ে বন্ধুকে গণধর্ষণ
ভারতে চরম পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে অরাজকতা। দেশটিতে দুই সেনা অফিসারকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। লুট করা হয়েছে সঙ্গে থাকা জিনিস। এরপরও ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা।
দুই সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা তাদের বান্ধবীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
— NDTV (@ndtv) September 12, 2024
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জাম গেটের কাছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই তরুণ সেনা অফিসার এবং তাদের মেয়ে বন্ধুদের নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে। হামলাকারীরা প্রাথমিকভাবে লুটপাটের উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে হামলার একপর্যায়ে তারা অফিসারদের ওপর অত্যাচার করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা একজন মেয়েকে গণধর্ষণ করে। পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে একজনের অতীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে বলে জানা গেছে।
এনডিটিভি বলছে, মহউ আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণরত এই সেনা অফিসাররা ঘটনার দিন বিকেলে ছোটি জ্যামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে ওই মেয়েদের সাথে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ পিস্তল, ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আটজন লোক তাদের ঘিরে ফেলে।
ওই ব্যক্তিরা প্রশিক্ষণার্থী অফিসার ও নারীদের মারধর করে এবং তাদের টাকা ও জিনিসপত্র ছিনতাই করে।
— NDTV (@ndtv) September 12, 2024
এরইমধ্যে দুষ্কৃতীরা এক যুবতীকে বন্দি করার ঘোষণা দেয়। আর ওই সেনা অফিসারদের ১০ লাখ রুপি আনতে বলে। পরে ওই অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে ফিরে গিয়ে কম্যান্ডিং অফিসারকে বিষয়টি জানান। কম্যান্ডিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
সেনাবাহিনী ও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় তাদের কাছে বন্দি থাকা যুবতীকে। পরে মহউ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল টেস্ট করালে জানা যায়, ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া দুই কর্মকর্তাই আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন
বাদগোন্ডা থানার ইনচার্জ লোকেন্দ্র সিং হিরোর বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায়ও প্রমাণিত হয়েছে, একজন যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ইন্দোর রুরাল এসপি হিতিকা ভাসাল বলেছেন, ‘লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ সম্পর্কিত (বিএনএস) ধারা এবং অস্ত্র আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’
টিএম